Showing posts with label বরাক ভিউ. Show all posts
Showing posts with label বরাক ভিউ. Show all posts

Sunday, 5 December 2021

প্রদীপ দত্ত কে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মিছিল শিলচরে

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলচর, ০৪ ডিসেম্বরঃঃ-
আজ শিলচরে প্রদীপ দত্ত রায়ের বিনাশর্তে মুক্তির দাবিতে নাগরিকদের পক্ষ থেকে মিছিল ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। 
দুপুর ১২ টায় শিলচরের নরসিংটোলা ময়দান থেকে বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক জনগণ ভাষিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, ১৯৬১ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের চাপে তৎকালীন কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে আসাম সরকারের ভাষা আইনে আনা সংশোধনী মতে বরাক উপত্যকার তিন জেলার সরকারি কাজে বাংলা ভাষা প্রয়োগের দাবিতে ও ভাষিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনকারী প্রদীপ দত্ত রায়কে   ব্রিটিশ সরকারের সময়ে তৈরি হওয়া দেশদ্রোহীতা আইনে মিথ্যা মামলা রুজু করে গ্রেফতার করে জেলে বন্দি করার প্রতিবাদে ও তাঁর মুক্তির দাবিতে মিছিল করে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ চলাকালে সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের সহ - সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী ইমাদ উদ্দিন বুলবুল বলেন একাদশ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আইন মোতাবেক জেলা প্রশাসনকে কাজ করার দাবি কোনো ভাবেই দেশদ্রোহীতা হতে পারে না। তিনি এও বলেন যে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন যে এই আইনের যথেচ্ছ অপপ্রয়োগ হচ্ছে। প্রদীপ দত্ত রায়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সেখানে উপস্থিত আমরা বাঙালি দলের নেতা ও সি আর পি সি সি, আসাম এর কো-চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্হ বলেন যে বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন আসাম সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির মদতে পরিচালিত হচ্ছে। রাজ্যের ভাষিক সংখ্যালঘুদের মাতৃভাষা আজ বিপন্ন। ১৯৬১, ১৯৭২ ও ১৯৮৬ সালে আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন বরাক  উপত্যকার জনগণ কিন্তু বর্তমান সরকার উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তিগুলোর মদতে সেই অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। বরাক উপত্যকার মাতৃভাষা প্রেমী জনগণের এখন ঘরে বসে থাকার সময় নয়। তিনি সবাইকে আহবান জানিয়ে বলেন সরকারের ফ্যাসীবাদী চরিত্রকে ঘরে বসে নিন্দা জানালে চলবে না, ভাষা আন্দোলনের শহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অধিকার রক্ষার আন্দোলনে যোগ দিতে হবে। ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি'র পক্ষে অরিন্দম দেব বলেন যে এই আন্দোলন কোনো ভাষার বিরুদ্ধে নয়, এই আন্দোলন মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। প্রদীপ দত্ত রায়কে তিনি নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে আগামীতে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার দাবি জানান। বিক্ষোভ শেষে একটি স্মারকপত্র আসামের রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে জেলাশাসক মারফত প্রদান করা হয়। সাধন পুরকায়স্হ, বিশ্বজিত দাস, ইমাম উদ্দিন বুলবুল, হিল্লোল ভট্টাচার্য, অরিন্দম দেব, জয়দীপ ভট্টাচার্য, তানিয়া লস্কর প্রমুখ স্মারকপত্রটি জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত উপায়ুক্ত দীপক জিডুং এর হাতে তুলে ধরে দাবি জানান যে প্রদীপ দত্ত রায়কে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে হবে, শিলচরের উদিয়মান সাংবাদিক অনির্বাণ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১২৪ ( এ) ধারায় দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির মদতে পরিচালিত আসাম সরকারের ভাষিক আগ্রাসন রুখতে হবে। রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে প্রদান করা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রাক্তন উপাচার্য এবং সি আর পি সি সি, আসাম এর সভাপতি ড. তপোধীর ভট্টাচার্য, চেতনা সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষে বিশিষ্ট নাট্যকার আশীষ ভৌমিক, অগ্রণী ক্লাবের পক্ষে ভোলা চক্রবর্তী, রূপম সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষে সুভাষ বর্মন, এ আই ডি এস ও'র আসাম রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি হিল্লোল ভট্টাচার্য, ভাষা শহীদ স্টেশন দাবি কমিটির পক্ষে রাজীব কর, শ্রমিক সংগঠন সিটু'র জেলা সভাপতি সমীরণ আচার্য, আমরা বাঙালির পক্ষে সাধন পুরকায়স্হ, কোরাস সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষে বিশ্বজিত দাস, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি'র পক্ষে অরুপ বৈশ্য, মার্চ ফর সায়েন্স এর পক্ষ থেকে কমল চক্রবর্তী, অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন এর পক্ষে মানস দাস, বিপিএফ এর পক্ষে ঋষিকেশ দে, উজ্জ্বল পান্ডুলিপির পক্ষে তমোজিৎ সাহা, সারা বাঙালি যুব ছাত্র সংস্থার পক্ষে প্রবীর পাল, নারী মুক্তি সংস্থার পক্ষে স্নিগ্ধা নাথ, এ আই ডি ওয়াই ও এর পক্ষে প্রেমানন্দ দাস, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ওর্গেনাইজেশনের পক্ষে আফজাল হোসেন চৌধুরী, এন আই এস এ এর প্রজ্ঞা অন্বেষা, সারওয়ার জাহান, এ আই ডি এস ও'র পক্ষে গৌর চন্দ্র দাস, পল্লব ভট্টাচার্য, ১৯ শে মে উদযাপন কমিটির পক্ষে সুব্রত কর, বরাক ফোরামের দেবরাজ দাস, ইয়াসির পক্ষে দিলীপ কুমার সিংহ সহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা। 
সংবাদদাতা 
আপন লাল দাস ।

Thursday, 2 December 2021

বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল, ২০২১ বাতিলের দাবিতে স্মারকপত্র কনজিউমার্স এসোসিয়েশনের


নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলচর, ২ ডিসেম্বরঃঃ- বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল,২০২১ বাতিলের দাবিতে আজ সর্বভারতীয় প্রতিবাদ দিবসের অঙ্গ হিসেবে গোটা রাজ্যের সাথে শিলচরেও অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স এসোসিয়েশনের এর পক্ষ থেকে কেন্দ্রের শক্তিমন্ত্রীর নিকট ই-মেইল যোগে স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। স্মারকপত্র উল্লেখ করা হয় যে এল বিল সংসদে গৃহীত হলে বিদ্যুৎ ক্ষেত্র পুরোপুরি বৃহৎ ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাবে, ফলে সাধারণ মানুষের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সমস্যা সৃষ্টি হবে। 
স্মারকপত্রে এও উল্লেখ করা হয় যে স্বাধীনতার পর বিদ্যুৎ পরিষেবাকে পণ্য হিসেবে বিবেচিত না করার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল, তা অটল বিহারী বাজপাই এর নেতৃত্বে পরিচালিত এন ডি এ সরকার বিদ্যুৎ আইন, ২০০৩ সংসদে পাশ করে তা পরিবর্তন করে এবং তখন থেকেই বিদ্যুৎ খন্ডের বেসরকারিকরণের পথ প্ৰশস্ত হতে শুরু করে। যদিও তার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বন্টনের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে কমতে থাকে ফলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হতে শুরু হয়। বর্তমান বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হলে উভয় ক্ষেত্র পুরোপুরি চলে যাবে পুঁজিপতিদের হাতে। ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের অন্যতম দাবিও ছিল বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার করা কারণ কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যে বিদ্যুত ব্যবহার করেন তার মূল্য আকাশ ছোঁয়া হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট জোরালো দাবি জানানো হয় যে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল, ২০২১ বাতিল করতে হবে, সাধারণ নাগরিকের জন্য বিদ্যুতের মূল্য প্রতি ইউনিট এক টাকা ধার্য করতে হবে। কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুলভ মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বন্টনের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া চলবে না ইত্যাদি। স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন দিলীপ নাথ, চাম্পালাল দাস, হিল্লোল ভট্টাচার্য, বিজিত কুমার সিংহ প্রমুখ।
সংবাদদাতা 
আপন লাল দাস।

Wednesday, 1 December 2021

কাটিগড়ার কাতিরাইলের করতিগ্রাম থেকে নিখুজ বছর তেরোর এক ছেলে

কাটিগড়া, ১ ডিসেম্বরঃঃ-  শিশু হারিয়ে যাওয়ার চব্বিশ ঘন্টা হয়ে যাওয়ার পরও কোনো সন্ধান মিলেনি। কাটিগড়া থানায় এজহার প্রদান করার পর কাটিগড়া থানার অছি নব কুমার সইকিয়া  হারিয়ে যাওয়া শিশুর বাড়িতে গিয়ে একাধিকবার খুঁজ নিয়েছেন কিন্তু এখনো মাত্র তেরো  বছর বয়সী অজয় সেন (স্বরূপ) এর কোনো সন্ধান মিলেনি। করতিপার গ্রামের সেন পরিবারের কোনো ধরনের শত্রু আছে বলে কারো জানা নেই। তাই শিশু স্বরূপ কে যে কেউ অপহরণ করবে এমন আশংখা কেউ প্রকাশ করেন নি।  
 কাটিগড়ার ছয় নং  জাতীয় সড়কে নানা ধরনের ডাকাতি, বাড়িতে ডাকাতি সহ ঘরের দরজা ভেংগে  চুরির ঘটনা আকছর সুনা যায় কিন্তু  শিশু অপহরণ  বা নিখুজের মত কান্ড শুনা যায় নি। কাতিরাইল চা বাগান এলাকার করতিপার গ্রামের মাত্র তেরো বছর বয়সী স্বরূপ গত মংগলবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ নিজেদের একটি গরু বাড়ি থেকে খেদে দিতে যায়। তার পর আর সে ফিরে নি ঘরে। সহজ সরল প্রকৃতির স্বরূপ কে তার মা বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় ডাকা ডাকি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত খুঁজতে খুঁজতে না পেয়ে কাটিগড়া থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত এজহার প্রদান করেন কাকা শ্যামল রঞ্জন সেন। এজহার পেয়ে কাটিগড়া থানার অছি নব কুমার সইকিয়া একাধিক বার  খুঁজ নিয়েছেন,  কিন্তু শিশু স্বরূপের কোনো খুঁজ এখনো পাওয়া যায় নি। 
-------------------------------------

Saturday, 27 November 2021

শাহসুফি তেলিটিকরী রহঃ এর বার্ষিক ঈসালে সওয়াব মাহফিল ২৯ শে জানুয়ারি, প্রস্তুতি শুরু

হজরত তেলিটিকরী (রহঃ) এর ইন্তেকাল বার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল সম্পন্ন 

RTN Barak Live, কাটিগড়া, ২১ নভেম্বরঃ
পীরে কামিল শাহ সুফি  মুবাশ্বির আলী তেলিটিকরী (রহঃ) ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল সম্পন্ন হলো শনিবার। এদিন সকাল দশটা থেকে  বিভিন্ন খতম শরিফ আদায় সহ  জিকির আজকার, ওয়াজ-নসিহত ও দোয়া মোনাজাত সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে  বিকাল চারটায় মাহফিলের শেষ হয়। 
  কাটিগড়ার তেলিটিকর জামেয়া মুবাশ্বিরিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই দোয়া  মাহফিলে উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় তিনশতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। এই মাহফিলে  বক্তব্য রাখেন মাসিক সবুজ মিনার পত্রিকার সম্পাদক মাওলানা আজিজুর হক। তিনি তার বক্তব্যে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (ছঃ) জীবনের নানধিক নিয়ে আলোচনা করেন। বলেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (ছঃ) কে সৃষ্টিগত ভাবে সকল ধরনের দোষমুক্ত করে সৃষ্টি করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে তিনি হযরত হাসান বিন ছাবিতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বিশ্বনবীর মতো কোনো সন্তান কে কেউ কোনো দিন গর্ভে ধারণ করেন নি। তিনি যেমন সৌন্দর্যে ছিলেন অদ্বিতীয় তেমনি আখলাক্বে হাসানাহ ও উত্তম আদর্শের অধিকারী ছিলেন। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ ছঃ কে নিয়ে  সাহাবায়ে কেরামের যে ধারণা ছিল তা সুস্পষ্ট ভাবে দলীল ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেন তিনি। হজরত তেলিটিকরী (রহঃ) এর জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা পেশ করে বক্তব্য রাখেন জামেয়া মুবাশ্বিরিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সুহেল আহমদ কাজী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন হজরত মাওলানা মুফতি আব্দুস সুবহান, সোনাই আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সহিদ আহমদ বড়ভূইয়া প্রমুখ। হামদ ও নাত পরিবেশন করেন, মুবাশ্বিরিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রায়হান আহমদ ও আশরফ আহমদ। এদিনের মাহফিলে পীরে কামিল শাহ সুফি  হজরত মুবাশ্বির আলী তেলিটিকরী (রহঃ) এর বিগত বছরের ঈসালে সওয়াব মাহফিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করা হয়।  পাশাপাশি ২০২২ সালের ঈসালে সওয়াব মাহফিল নিয়েও দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।  ২০২২ সালের ২৯ শে জানুয়ারি রোজ শনিবার দিবারাত্রি হজরত মুবাশ্বির আলী তেলিটিকরী (রহঃ) এর বার্ষিক ঈসালে সওয়াব মাহফিল আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাহফিলে বিশেষ মোনাজাত করেন শাহসুফি আলহাজ্ব মঈন কাজী'। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব কমরুল ইসলাম চৌধুরী, শামসুল ইসলাম, আলহাজ্ব আবুল ফজল লস্কর, মাওলানা আতিকুর রহমান, হাফিজ আব্দুল হালিম, মাওলানা আব্দুল মুনিম, হাফিজ আমিন উদ্দিন প্রমুখ। 

ছবিঃ- মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন মাওলানা সুহানি আহমদ কাজী সাহেব, পাশের ছবিতে উপস্থিতির একাংশ।

Saturday, 27 March 2021

খলিলকে টিকেট না দিতে বিভিন্ন মাধ্যমে অফার দিয়েছিলেন গৌতমঃ- সুস্মিতা



গৌতম রায় জালি বিজেপি, হিমন্তের  সিণ্ডিকেট রাজের বিজনেস পার্টারঃ সুস্মিতা 

কাটিগড়া, ২৩ মার্চঃ- কাটিগড়া আসনে  খলিল উদ্দিন মজুমদার টিকেট না দিতে বহু প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল আমাকে। খোদ গৌতম রায়ের পক্ষ থেকে আমাকে অফার এসেছিল। কিন্তু আমি কাটিগড়া সহ গোটা কাছাড়ের সুষ্ঠু রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে খলিল উদ্দিন মজুমদার কে  টিকেট দিয়েছি।  দীর্ঘ আটবছর   খলিল উদ্দিন মজুমদার কাটিগড়ার জনগণের সুখে দুঃখে পাশে রয়েছেন । গৌতম রায় কে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে খলিলের। আজ কাটিগড়ায় নির্বাচনী প্রচারে এসে এভাবেই বক্তব্য রাখেন সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী সুস্মিতা দেব। তিনি বলেন, গৌতম রায় জালনোট। তিনি জালি বিজেপি। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সিন্ডিকেটের বিজনেস পার্টার। সিণ্ডিকেট রাজ ধরে রাখার জন্য হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাদের টিকেট দিয়েছে। এরা জালনোটের মতো। খোদ গৌতম রায় টাকার বিনিময়ে টিকেট নিয়ে এসেছেন।  নির্বাচন পরে তিনি কলকাতা বা কাটলিছড়ায় চলে যাবেন। কাটিগড়া বাসী তার টিকির নাগাল পাবেন না। গৌতম বাবু নির্বাচিত হলে কাটিগড়া বাসী মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না। ব্যবসায়ীদের গোণ্ডা টেকস দিতে হবে। বিশ্বাস না হলে হাইলাকান্দির জনগণকে জিজ্ঞেস করার কথা বলেন তিনি। গত লোকসভায় সুস্মিতা দেব হেরেছিলেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, খলিল বাবু জিতে গেলে সন্তোষ কন্যা নিযে বিজয়ী হয়েছেন বলে মনে করবেন।
 আজ তিনি মহাজোট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী খলিল উদ্দিন মজুমদারের পালে হাওয়া তুলতে  কাটিগড়ার ব্লকের অন্তর্গত নুননগর, কাটিগড়া, চৌরঙ্গী,  আমতলা বাজার, শ্রীপুর,  স্লোইচগেট বাজার ইত্যাদি স্থানে   পদযাত্রা সহ নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন। প্রায় প্রত্যেক সভায় তিনি বর্তমান বিজেপি সরকারের ব্যর্থতা সহ কংগ্রেসের পাঁচ গ্যারান্টি নিয়ে আলোচনা করেন। বলেন, পাঁচলক্ষ চাকরি, দুশো ইউনিট বিদ্যুৎ ফ্রি, মহিলাদের জন্য মাস প্রতি দুহাজার টাকা, কাগজকল পুনরায় চালু, সিএএ বাতিল ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কংগ্রেস।  এনআরসিতে যাদের নাম এসেছে তাদের নাগরিক বলে ঘোষণা দিবে কংগ্রেস। আর যারা বাদ পড়েছেন তাদের আবার আবেদন করার সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। আজকের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কংগ্রেসের মুখপাত্র শর্মিষ্ঠা মুখার্জি, মহাজোট প্রার্থী খলিল উদ্দিন মজুমদার, পেপার মিল রিভাইবেল একশন কমিটির সভাপতি মানবেন্দ্র চক্রবর্তী, হুসেন আহমদ চৌধুরী,  ফয়ছল হক বড়ভুইয়া, পাপন দেব, সূর্যকান্ত সরকার, বিশ্বজিৎ মালাকার, প্রানেশ দেব, লিখিলেশ দেব, নির্ঝর দাস সহ জোট শরিক দলের নেতৃবৃন্দরা।

Wednesday, 17 March 2021

চল্লিশ বছরের দুই সম্প্রদায়ের ব্যালেন্স ট্রেডিশন ভেঙে নতুন চাল কংগ্রেসের


একসাথে কাটিগড়া-বড়খলায় সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়ে চমক, 

হারানো জমি ফিরে পাচ্ছেন সুস্মিতা 

RTN tv Live, কাটিগড়া, ১৭ মার্চঃ-  চল্লিশ বছর। এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে  আটটি বিধানসভা নির্বাচন। প্রত্যেকটা নির্বাচনে কাটিগড়ায় সংখ্যাগুরু থেকে প্রার্থী দেওয়া হলে বড়খলায়  সংখ্যালঘু থেকে প্রার্থী দিয়ে আসছে ভারতীয় জাতীয়  কংগ্রেস।   এই সুদীর্ঘ কালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস   এক অলিখিত নিয়মের মধ্য দিয়েই বড়খলা এবং কাটিগড়ায় প্রার্থী মনোনীত করতে দেখা গেছে। হরহামেশাই প্রার্থী চয়ন করতে গিয়ে এই নিয়মটি নজরে রেখেছে দলীয় নেতৃত্ব।   রাজনীতির 'র' বুঝেন এমন ভোটারদের মধ্যেও কংগ্রেসের এই নিয়ম বহুল চর্চিত। নির্বাচনের প্রাক মুহুর্তে কংগ্রেসের কাটিগড়ায় প্রার্থী কে হচ্ছেন, তার উপর পুরো মাত্রার নির্ভর করতো বড়খলার টিকেট প্রত্যাশীদের ভাগ্য।
 "সংখ্যালঘু বনাম সংখ্যাগুরু" দীর্ঘ চল্লিশ বছরের  এই ব্যালেন্স ট্রেডিশন ভেঙে একুশের মহারণে এই প্রথম কাটিগড়া এবং বড়খলায় একসাথে সংখ্যালঘু থেকে প্রার্থী দিলো কংগ্রেস।  কাটিগড়ায় কংগ্রেস প্রার্থী করেছে খলিল উদ্দিন মজুমদারকে। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ প্রাক্তন মন্ত্রী মিছবাউল ইসলাম লস্করকে দলীয় টিকেট ধরিয়ে দেওয়া হলো বড়খলায়। এর আগে ১৯৭৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একসাথে উভয় আসনে কংগ্রেস সংখ্যালঘু থেকে প্রার্থী দিয়েছিল। সেসময় কাটিগড়ায় কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। বড়খলায় ছিলেন লুৎফর রহমান। ১৯৮৩ থেকে ২০১৬ সাল।   এর মধ্যে    আটটি বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে রাজ্যে। প্রত্যেকটি নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্ব ঘুটির চালের মতো উভয় সম্প্রদায় থেকে দুই আসনে প্রার্থী দিয়ে আসছে। নেট দুনিয়ার ঘাটাঘাটি করলে দেখা যায়,  ১৯৮৩ সালের নির্বাচনে কাটিগড়ায় কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন নেপাল চন্দ্র দাস । তখন বড়খলায় কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন আলতাফ হোসেন মজুমদার। ১৯৮৫ সালের নির্বাচনে এই দুজনকেই আবার প্রার্থী করে কংগ্রেস। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কাটিগড়ায় কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন নিহার রঞ্জন লস্কর। তখন বড়খলায় প্রথমবার কংগ্রেস টিকিট পান মিছবাউল ইসলাম লস্কর। এরপর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হয় ১৯৯৬ সালে। সেসময় অনিল চন্দ্র দে কে কাটিগড়ায় এবং মিছবাউল ইসলাম লস্করকে আবার বড়খলায় প্রার্থী করা হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে প্রদীপ নন্দী কাটিগড়ায় কংগ্রেসের জার্সিতে ভোট ময়দানে অবতীর্ণ হন। বড়খলায় আবারো মিছবাউল ইসলাম লস্করের উপর ভরসা রাখে কংগ্রেস। স্থানীয় প্রার্থীর জিগির তুলে ২০০৬ সালে কাটিগড়ায় কংগ্রেসের টিকিট পান প্রয়াত প্রদীপ পাল। বড়খলায় আবারো মিছবাউল ইসলাম লস্করকে টিকিট দেওয়া হয়। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন বদরপুরের  বিধায়ক আনোয়ারুল হক কে কাটিগড়ায় কংগ্রেস প্রার্থী করে।  বড়খলায় দলীয় টিকেট ধরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি ত্যাগী ড. রুমি নাথকে। অনুরূপভাবে ২০১৬ সালের নির্বাচনে তৎকালীন বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভূইয়া কে কংগ্রেস  প্রার্থী করে কাটিগড়ায়। বড়খলায় ড. রুমি আবারো দলীয় টিকেট পান । এই আটটি বিধানসভা নির্বাচনে উভয় আসনে  একসাথে একসম্প্রদায় থেকে কোনো দিন কংগ্রেস  প্রার্থী দেয় নি। এবারই প্রথম কাটিগড়া এবং বড়খলায় একসাথে সংখ্যালঘু থেকে প্রার্থী দিলো কংগ্রেস। কাটিগড়ায় জনসংযোগ রক্ষা করে যাওয়ার ফলে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন খলিলবাবু। বড়খলায় স্থানীয় প্রার্থীর দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখেই আবার মিছবাউল ইসলাম লস্করকে জার্সি পরিয়ে মাঠে নামিয়েছে কংগ্রেস।   রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার প্রার্থী চয়নে কংগ্রেস  বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। আমজনতার হৃদয়ে থাকা ব্যক্তিকে দলীয় টিকেট দিয়ে কংগ্রেস মোক্ষম জবাব দিয়েছে শাসকদলকে। জনসমর্থন থাকা প্রার্থীদের কে মনোনয়ন  দেওয়ায় জোট থাকা সত্ত্বেও দলীয় অন্তর্কোন্দল তেমনটা পরিলক্ষিত হচ্ছে না আপাতত। আর এই চালে নিজের পায়ের তলার মাঠি অনেকটা মজবুত করে নিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। কাটিগড়ার খলিলের হয়ে মরণকামড় দিয়েছিলেন সুস্মিতা। যার পরিপ্রেক্ষিতে খলিল মজুমদার  টিকেট পেয়েছেন। একইভাবে  বড়খলায় পাপন দেবের হয়ে লড়াই করে শেষমেষ  মিছবাউল ইসলাম লস্করকে দলীয় টিকেট প্রদানে  রাজি হওয়ায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি। সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী সুস্মিতা দেবের উপর নানা অভিযোগ এনে সংখ্যালঘুরা মুখ ফেরাতে শুরু করেছিলেন। একুশের মহারণে কাটিগড়া এবং বড়খলায় উপযুক্ত প্রার্থী চয়ন করার ফলে হারানো জমি অনেক ফিরে পেতে পারেন সন্তোষ-কন্যা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

ভোট ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ গৌতম-খলিলের, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইর ক্ষেত্র তৈরি কাটিগড়ায়

ভোট ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ গৌতম-খলিলের, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইর ক্ষেত্র তৈরি কাটিগড়ায়

RTN tv Live, কাটিগড়া, ১৭ মার্চঃ- দলীয় টিকেট নিয়ে সব জল্পনা কল্পনা শেষ।  কাটিগড়ার ভোট  ক্ষেত্র তৈরি।  জোট প্রার্থী  খলিল উদ্দিন মজুমদার। বিপক্ষে গেরুয়া জার্সিতে ভোট ময়দানে রয়েছেন প্রাক্তনমন্ত্রী গৌতম রায়। আছেন নবগঠিত অসম জাতীয় পরিষদের মনোনীত প্রার্থী সাধন সিংহা সহ নির্দল প্রার্থীও। এপর্যন্ত ভোটের যা হাওয়া,  দ্বিমুখী নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে কাটিগড়া।   জোট প্রার্থী খলিল উদ্দিন মজুমদার বনাম বিজেপির গৌতম রায়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। 
গত নির্বাচনের হিসাব অনুযায়ী জোট প্রার্থী খলিলের দিকেই পাল্লাভারি বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা ২০১৬ সালের নির্বাচনে  কংগ্রেস পেয়েছিল ১৫,৪১৮ ভোট। তৎকালীন  ইউডিএফ প্রার্থী খলিলের ঝুলিতে পড়েছিল  ৫০,৯৫৬ ভোট।  সেসময় বিজেপির অমর চাঁদ জৈন  ৫৯.৭৬৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।  এবারে কংগ্রেস-ইউডিএফ একসঙ্গে ভোট খেলছে। জোট শরিক উভয় দলের প্রাপ্ত ভোট বিজেপির  চেয়ে প্রায় সাত হাজার বেশি। সেখান থেকেই দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে কাটিগড়া উদ্ধারের স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস। একুশের ভোটার তালিকা অনুযায়ী  বর্তমানে কাটিগড়ায় মোট ভোটার ১,৮৭,২৫৩ ।  এক হিসাব মতে, কাটিগড়ায়  হিন্দু ভোট মুসলিম ভোটের চাইতে হাজার এক বেশি। যদিও সরকারিভাবে হিন্দু-মুসলিম বলে কিচ্ছু নেই তবে অন্য এক গ্রুপের দাবীমতে, কাটিগড়ায় হিন্দু ভোট প্রায় পাঁচ হাজার বেশি। আবার কাস্টিংয়ের দিক দিয়ে উভয় সম্প্রদায়ের ভোট প্রায় সমান হয়ে যায়। অন্তত বিগত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করলে এমনটা তথ্য বেরিয়ে আসে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের, বিগত নির্বাচনগুলোর মতো এবারো  ধর্মীয় মেরুকরণ অনুযায়ী ভোট হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যদি হয়,  তাহলে গৌতম-খলিল উভয়ের চান্স ফিফটি ফিফটি। হারজিত হবে বড়োজোর  হাজার দশেক ভোটের ব্যবধানে। রাজনীতির কারবারিদের মতে, ভোট ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে  গৌতম-খলিলের কাছে। মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতে পারলেই কেল্লাফতে করে আরও একবার নিজের জাত চেনাতে তেমন বেগ পেতে হবে না গৌতম বাবুর। অনুরূপ ভাবে হিন্দু ভোটের দিকেই পাখির চোখ রেখে এগিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। তাতে ভাগ বসাতে পারলে দিসপুর যাত্রার স্বপ্ন দেখতে পারেন খলিলবাবুও।

নিজের মেয়ের জন্য পাত্রের ব্যবস্থা করুন, পরে না হয় কাটিগড়ার মা বোনদের দায়িত্ব নেবেন গৌতমবাবু

নেপাল দাস যখন নেতা ছিলেন তখন উনি তেনাও ছিলেন না

নিজের মেয়ের জন্য পাত্রের ব্যবস্থা করুন, পরে না হয় কাটিগড়ার মা বোনদের দায়িত্ব নেবেন

গৌতমের আলটপকা মন্তব্যের ক্ষমা চাইতে বললো কংগ্রেস 

RTN tv Live, কাটিগড়া ১৬ মার্চঃ- তপশিলি সমাজ সহ সর্বসাধারণের জনপ্রিয় নেতা  প্রয়াত নেপাল চন্দ্র দাস যখন নেতা ছিলেন তখন উনি হয়তো "তেনা"ও ছিলেন। নেপাল বাবু তাঁর নিজের যোগ্যতায় সাংসদ-বিধায়ক হয়েছিলেন। গৌতম রায় উনাকে নেতা বানান নি। নেপাল দাসকে গৌতমবাবু নেতা বানিয়েছেন বলে বুলি আওড়াচ্ছেন। এটা তপশিলি সমাজকে অপমানিত করার নামান্তর।  আজ কাটিগড়া ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে গৌতম রায়ের বিরুদ্ধে এভাবেই আক্রমণ করলো  কাটিগড়া  কংগ্রেস।  

গত ১০ ই মার্চ সিদ্ধেশ্বরে এক  নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিতে কাটিগড়ায় বিজেপি প্রার্থী গৌতম রায় বলেন, প্রয়াত নেপাল চন্দ্র দাস কে তিনি নেতা বানিয়েছিলেন।  তাঁর এই বক্তব্যে পছন্দ হয়নি কংগ্রেসের। আজ  কংগ্রেসের কাটিগড়া সমষ্টির ইনচার্জ পাপন দেব সহ অন্যান্য স্থানীয় দলীয় কর্মীদের পাশে রেখে কাটিগড়া ব্লক কংগ্রেসের ইনচার্জ সূর্যকান্ত সরকার বলেন,  জননেতা নেপাল চন্দ্র দাস নিজের যোগ্যতায় সাংসদ-বিধায়ক হয়েছেন। কেউ তাকে নেতা বানান নি। তিনি যখন জন নেতা ছিলেন তখন হয়তো গৌতম বাবু তেনাও ছিলেন না। তপশিলি সম্প্রদায়ের  জনপ্রিয় এই মহান নেতাকে নিয়ে গৌতম রায়ের বিরূপ মন্তব্য গোটা তপশিলি সমাজকে অপমানিত করেছে। এজন্য তিনি গৌতম রায়কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন। তিনি আরও বলেন, কাটিগড়ার মা-বোনদের নিয়ে গৌতম রায়  অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। তার পরিবারের খোজ নিয়ে দেখুন, তিনি নিজে  যোগ্য পিতা হতে পারেন নি । তার নিজের মেয়েকে সঠিক পাত্রস্থ করতে পারেন নি।  কাটিগড়ার মা-বোনদের কি দায়িত্ব নেবেন তিনি। সূর্যকান্ত বাবু বলেন, একে অপরের বিরুদ্ধে কম বক্তব্য দেওয়া হয় নি কাছাড়ে। কিন্তু কোনোদিন কেউ কাউকে বিদ্রুপ করে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করেন না এখানকার নেতারা। কিন্তু গৌতম বাবু কাটিগড়ায় এসে তার এই পুরোনো আলটপকা মন্তব্য শুরু করে দিয়েছেন। তিনি নিজে যেখানে যান, একটা অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। কাটলিছড়া বাসি উনাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। এবার কাটিগড়ায় এসেছেন লুটেপুটে খাওয়ার জন্য। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্থ নেতা কে বয়কট করে কাটিগড়ার শান্তি সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের স্বার্থে আগামী ১ ই এপ্রিল কংগ্রেস মনোনীত জোট প্রার্থী খলিল উদ্দিন মজুমদার কে ভোট দিয়ে জয়ী করার আহবান জানান তিনি। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাটিগড়া ব্লক সেবাদলের চেয়ারম্যান নির্ঝর দাস, সাধারণ সম্পাদক মৃদুল নাগ,  শরফুল আলম চৌধুরী, জুনাইদ আহমদ মজুমদার প্রমুখ।

Saturday, 24 October 2020

চুপিসারে ৮৪৮ নং এলপি স্কুলের এসএমসি গঠন , ডিইইও'র দারস্থ অভিভাবকরা

 আরটিএন ডেস্ক,  পূর্বকাটিগড়া, ২৪ অক্টোবরঃ- পূর্বকাটিগড়ার দুধপুর ক্লাস্টারের অন্তর্গত ৮৪৮ নং লামার দুধপুর এলপি স্কুলের এসএমসি পূর্ণগঠনে গাইডলাইনের কোনো তোয়াজ করা হয় নি। ডাকা হয় নি সাধারণ সভাও।   এসংক্রান্ত কোনো চিঠিও ইস্যু করেন নি  সদস্য সচিব বিমলেন্দু সিনহা। তবুও গঠন করে নিয়েছেন পরিচালন সমিতি।   নিজের কুমতলব হাসিল করতে  চুপিসারে গঠিত এই পরিচালন সমিতি বাতিল করার দাবিতে  জেলা  প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের (ডিইইও) দ্বারস্থ হলেন স্কুলের  অভিভাবকরা। এ উদ্দেশ্য তারা মঙ্গলবার এক স্মারক পত্র তুলে দেন ডিইইও অফিসারের হাতে। স্মারক পত্রের কপি দেওয়া হয়েছে কাছাড়ের জেলা শাসককেও।
 ৮৪৮ নং লামার দুধপুর এলপি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক মায়াজ উদ্দিন চৌধুরী, ফরিজ উদ্দিন চৌধুরী,  আলা উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ স্মাক্ষরিত স্মারক পত্রে বলা হয়েছে, ৮৪৮ নং লামাদুধপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষিক তথা সদস্য সচিব  বিমলেন্দু সিনহা স্কুলের এসএমসি পুনর্গঠন করেছেন বলে পরস্পর  খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু তিনি পরিচালন কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে কোনো সাধারণ সভা আহবান করেন নি। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনো চিঠিও তিনি ইস্যু করেন নি।  কবে, কোথায়, কিভাবে স্কুলের পরিচালন সমিতি পুনর্গঠন হলো তা জানেন না স্থানীয় জনগণ।   এসএমসি গঠনে গাইডলাইনের কোনো তোয়াজ না করে কিভাবে গঠিত হলো কমিটি, এমন প্রশ্নও উত্তাপন করে তারা।  অভিভাবক তথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অন্ধকারে রেখে নিজের মনমর্জি মতো সাধারণ সভা দেখিয়ে এসএমসি গঠন করে নিয়েছেন বলে প্রধান শিক্ষিক বিমলেন্দু সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের। সুষ্ঠু সুন্দর পরিচালন সমিতি গঠন করতে এতো মাথাব্যথা কেন সদস্য সচিবের।  এতে কি মতলব রয়েছে তাঁর।  কার মদতে, কি উদ্দেশ্যে চুপিসারে পরিচালন কমিটি গঠন করে নিলেন সদস্য সচিব, তাঁরও জবাব চেয়েছেন অঅভিভাবকরা।    এলাকার অভিভাবক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের অন্ধকারে রেখে গঠিত হওয়া   এসএমসি বাতিল করে  সাধারণ সভার মাধ্যমে নতুন এসএমসি গঠন করতে  প্রধান শিক্ষিককে নির্দেশ দিতে জেলা শাসক এবং ডিইইও এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগকারীরা।  অন্যথায় তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবেন। এব্যাপারে দুধপুর ক্লাস্টারের সিআরসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। কাটিগড়া প্রাথমিক শিক্ষা খণ্ড আধিকারিক (বিইইও) এর সাথেও যোগাযোগ গড়ে তুলা যায় নি। 
এদিকে শুধু ৮৪৮ নং লামার দুধপুর এলপি স্কুল নয়, পূর্বকাটিগড়ার বেশিরভাগ এলপি স্কুলের এসএমসি পুনর্গঠনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উত্তাপন হয়েছে। একাংশ দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিক তথা সদস্য সচিব চুপিসারে নিজের পছন্দ মতো লোককে সভাপতি করে পরিচালন সমিতি গঠন করে নিয়েছেন বলে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।  তাদের সঙ্গ দিচ্ছেন একাংশ সিআরসিরাও। ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যাহ্ন ভোজন, ইউনিফর্ম, স্কুলের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকায় পাখির চোখ থাকে একাংশ দুর্নীতিগ্রস্থ সদস্য সচিবদের। নিজের পছন্দ মতো পরিচালন সমিতির সভাপতি চয়ন করতে পারলেই স্কুলের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ টাকায় সহজে ভাগ বসানো যায়। তাই পরিচালন সমিতিতে নিজের পছন্দ মতো   লোক বসাতে হাটুজল খেয়ে মাঠে নামেন সদস্য সচিবরা, এমনই অভিযোগ  আমজনতার।

Tuesday, 20 October 2020

বাঙালি নির্যাতন, আজ কংগ্রেসের ৬ ঘন্টার ধর্না মালিডহরে

 
RTN tv Live, Kalain, 20 অক্টোবর :- আজ (মঙ্গলবার)  পার্শ্ববর্তী রাজ্য মেঘালয়ে বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদী ৬ ঘন্টা ব্যাপী ধর্না কর্মসূচী পালন করবে কালাইন ব্লক কংগ্রেস। স্থান, আসাম-মেঘালয় সীমান্তবর্তী মালিডহর।  কালাইন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বিশাল সরকার উপ সভাপতি জাকির হোসেন খানরা সংবাদ মাধ্যমকে জানান,   আজ ( মঙ্গলবার)  ২০ অক্টোবর   সকাল ৮ ঘটিকা থেকে বিকাল ২ ঘটিকা পর্যন্ত মেঘালয়ে বাঙালিদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ৬ ঘন্টা ধর্না কর্মসূচি পালন করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কালাইন ব্লক কংগ্রেস।  এই ধর্না কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন করতে  সর্বস্তরের জনগণ ও  কংগ্রেস কর্মীদের উপস্থিতি কামনা করে তারা আরও বলেন,   এদেশে বহুজাতি বহুগোষ্টি, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হলেও কোন না কোনো ক্ষেত্রে কোন রাজ্যে জাতীভেদ, প্রতিহিংসা দেখাদেয়। বিশেষ করে বাঙালি জাতিকে অন্য নজরে দেখা হয় সবসময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিশেষকরে মেঘালয় রাজ্যে খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা বাঙ্গালিদের উপর চরম নির্যাতন চালান বিভিন্ন সময়ে। তাছাড়া মিজুরাম, নাগাল্যান্ড সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে এর ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে। একথা উল্লেখ করে ব্লক ক;গ্ৰেসের কর্মকর্তারা জানান বাঙ্গালীদের উপর প্রতিহিংসা ও নির্যাতনের মুলে রয়েছে মেঘালয়ের খাসিছাত্র স;স্থার কর্মকর্তারা। মুলত মেঘালয়ে কয়লা বাণিজ্যই প্রধান,আর এই কয়লার সুবাদে বরাকের কয়লা ব্যবসায়ী সহ কয়লার শ্রমিকরা ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়ে মেঘালয় রাজ্যে গেলেও শ্রমিকদেরেকে ভারতীয় হিসেবে দেখা হয়নি, দেখা হয় বাঙালী হিসেবে এতেই বাঙ্গালীদের উপর স্টিমরোলার চালানো  হয়। বাঙালিদের উপর এরকম নির্যাতন যুগ যুগ ধরে জারি রয়েছে এটা কোন নতুন বিষয় নয়।  বরাক উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে খাসি সম্প্রদায়ের লোক স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। এমনকি বসবাস ছাড়াও  ব্যবসায়ী সূত্রে খাসিরা অহরহ বরাকে আসা যাওয়া করলেও তাদের উপর বাঙালিরা নির্যাতন করছে এমন শব্দ শোনা যায়নি। বরঞ্চ খাসিয়া সম্প্রদায়কে জামাই আদর করা হয় বরাকে । ইদানিং কালে নানা অজুহাত দেখিয়ে বাঙ্গালীদের উপর নানাভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে খাসি সম্প্রদায়ের লোক। প্রতিবাদ তো কম হয়নি? তবুও নির্যাতনের মাত্রা বিন্দুমাত্র কমেনি বরং দিন দিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তবুও বাঙালিরা আইন হাতে নেবে না, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণ-আন্দোলন ও ধর্না কর্মসূচি প্রতিবাদ ইত্যাদি সাইবস্থ করবে বিভিন্ন দল স;গঠন। ইদানিং কালে বাঙ্গালীদের উপর প্রতিহিংসা মেটাতে খাসীয়ারা নানা ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে।এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে কালাইন ব্লক কংগ্রেসের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ৮ ঘটিকা থেকে বিকাল ২ ঘটিকা পর্যন্ত আসাম মেঘালয় সীমান্তবর্তী মালিডহরে ৬ ঘণ্টার ধরণা কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পালন করার সহযোগিতা কামনা করছেন কালাইন ব্লক কংগ্রেস কমিটি পক্ষে ব্লক সভাপতি বিশাল সরকার, জাকির হোসেন খান সহ অন্যান্যরা। একইভাবে বাঙ্গালীদের উপর খাসিয়াদের  নির্যাতনের প্রতিবাদে আমরা বাঙ্গালী স;স্থার তরফে ওই দিন মালিডহরে প্রতিবাদ সাইবস্থের কথা আগেই ঘোষণা করছেন স;স্থার তরফে সাধন পুরুকায়স্থ।

Monday, 28 September 2020

আনলকেও লক তারিনীপুর জিপি অফিস, নথিপত্র যোগাড়ে চরম বেকায়দায় জনগণ, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিস্ক্রিয় ভুমিকায় ক্ষোভ

আরটিএন টিবি লাইভ , পূর্বকাটিগড়া,  ২৮, সেপ্টেম্বরঃ- 
জিপি সার্টিফিকেট সহ গাও পঞ্চায়েত স্তরের বিভিন্ন সরকারি নথিপত্র যোগাড় করতে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন কাটিগড়া উন্নয়ন খন্ডের অন্তর্গত তারিনীপুর জিপির আমজনগণ।  বুধবার স্থানীয় করিম উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল বাছিত বেগ, মাওলানা সরফ উদ্দিন, আব্বাস উদ্দিন তালুকদার, কুতুব উদ্দিন প্রমুখরা ক্ষোভ প্রকাশ করে  বলেন, প্রতিদিন জিপি সার্টিফিকেট, মৃত্যুর প্রমাণ পত্রের আবেদন, টেক্স প্রদান, ছাত্রবৃত্তির জন্য ইনকাম সার্টিফিকেট সহ নানা কাজে গাও পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরুষ-মহিলারা জিপি অফিসে ছুটে  আসেন। 

ঘন্টার পর ঘন্টা তারা জিপি সচিব, টেক্সকালেক্টার ও অন্যান্য সরকারি আমলাদের অপেক্ষা করেন। কিন্তু আখেরে কোনো সরকারি আমলার টিকির নাগাল পাওয়া যায় না।  দীর্ঘদিন থেকেই বনধ পড়ে রয়েছে তারিনীপুর জিপি অফিসের কার্যালয়। এমনকি অফিস গৃহের তালা পর্যন্ত খোলা হয় না। কোবিড১৯ এর জন্য যে লকডাউন করা হয়েছিল তা আজও অব্যাহত রয়েছে তারিনীপুর জিপি অফিসে। দীর্ঘদিন থেকে বনধ পড়ে থাকার ফলে কার্যালয়ের আশাপাশে নোংরা পরিবেশ গড়ে উঠেছে। ছোটো থেকে ছোটো কোনো কাজের প্রয়োজনে পঞ্চায়েত সভানেত্রী সায়রা বেগম ও টেক্সকালেক্টার অসিম দাসের বাড়িতে যেতে হয়। কিন্তু বাড়িতে গিয়েও বেশির ভাগ সময় তাদের দেখা মেলে না। এজন্য পঞ্চায়েত স্তরের বিভিন্ন অতিপ্রয়োজনীয় নথিপত্র যোগাড় করতে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে চুড়ান্ত বেকায়দায় পড়েছেন জিপির আম জনগণ। তারা আরও বলেন, এই কয়দিন আগে অলক ঘোষ নামের একজন   তারিনীপুর জিপির সচিবের  দায়িত্বগ্রহণ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এলাকার জনগণের সাথে  দেখা সাক্ষাৎ করা বা অন্তত একদিনও অফিসে আসার প্রয়োজন বোধ  করেন নি তিনি। এই কদিন আগে  তিনি চুপিসারে পঞ্চায়েত সভানেত্রী সায়রা বেগমের বাড়িতে গিয়ে পরিচিত সভা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  জিপি অফিসের কার্যালয় রেখে সভানেত্রীর বাড়িতে কেন পরিচিতি সভা ? এমন প্রশ্নও তুলেন তারা। এর জন্য জিপির সিংহভাগ পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধিরাও সমানভাবে দায়ী । তারা আমলাদের কথায় উঠা বসা করেন। জনগণের  গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে সম্পূর্ণ নিস্ক্রিয় ভুমিকা পালন করে চলেছেন জিপির পঞ্চায়েত সভানেত্রী সহ গ্রুফ সদস্যরা।  তারা যদি পঞ্চায়েত অফিসে পরিচিতি সভার কথা বলতেন তাহলে অবশ্যই নতুন সচিব জিপি অফিসে  সভা করতে বাধ্য হতেন। কিন্ত তা না করে আমলাদের কথায় ওঠবস করে চলেছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। কারণ যদি সচিব সহ অন্যান্য আমলারা বিরাগভাজন হয়ে যান তাহলে  এনজিআরএস, জিপিডিপি সহ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে পকেট ভারী করার ভাড়া ভাতে ছাই পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ত্রিস্তরের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা জি হুজুর জি হুজুর করে আমলাদের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়ান । পাশাপাশি তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন, অনতিবিলম্বে জিপি কার্যালয় সচল করে যথারীতি কাজ-কর্ম চালিয়ে যেতে সরকারি আমলাদের কড়া নির্দেশ দেওয়ার দাবী জানান। অন্যথায় আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আজকের এই  ক্ষোভ প্রকাশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাশুক আহমদ, ফয়সাল উদ্দিন, ছারিমুল হক, ছয়দুর রহমান সহ অন্যান্যরা।

Monday, 14 September 2020

নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি লাঘু হলে রাজ্যে বনধ হতে পারে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র



চাকরি যাওয়ার  আশংকা তাড়া করছে কর্মী-সহায়িকাদের,

দাবি না মানলে বিধানসভা ঘেরাও কর্মসূচি অক্টোবরে

RTN tv Live, কালাইন, ১৪ সেপ্টেম্বরঃ- 
নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি লাঘু হলে সিদুরে মেঘ দেখছেন আসাম রাজ্যিক অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী সহায়িকা সংস্থার কর্মকর্তারা। এমনকি এই জাতীয় শিক্ষা নীতির ফলে  রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র সমূহ বন্ধ সহ তাদের চাকরি চলে যাওয়ার আশংকাও তাড়া করছে তাদের। তাই আগেভাগেই চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি ও জাতীয় শিক্ষা নীতি  অনুযায়ী ৩ বছর থেকে ৬ বছর বয়সের শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক স্কুলে স্থানান্তর না করার দাবীতে আন্দোলনের রূপ রেখা তৈরি করতে সারা রাজ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী-সহায়িকারা। 
এরই অঙ্গ হিসেবে শনিবার কালাইন ইউনিভার্সেল একাডেমিতে কাটিগড়া-কালাইন আইসিডিএস প্রকল্পের প্রায় পাঁচ শতাধিক ওয়ার্কার-হেপ্লারের উপস্থিতিতে  এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।  আসাম রাজ্যিক অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী-সহায়িকা সংস্থার কাটিগড়া প্রজেক্ট কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় বিভিন্ন বক্তা অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী-সহায়িকাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়ার দাবি তুলে  ধরেন। পাশাপাশি তারা বর্তমান রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করে বলেন, সুদীর্ঘ কাল থেকে  থেকে তারা নুন্যতম পারিশ্রমিকে কাজ করে আসতেছেন। কিন্তু আসাম সরকার কোনো দিন তাদের ন্যায্য মূল্যায়ন করে নি। কেরলের রাজ্য সরকার সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার ঠিক উল্টো পথেই হাটছেন আসাম সরকার।  বর্তমানে জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে ৩ থেকে ৬ বছরের শিশুদের প্রাথমিক স্কুলে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে খবর রটিয়েছে। তাই যদি হয়, তাহলে  কার্যত আসামে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র বন্ধ করার পথেই হাটছে সরকার। কারণ ৩ থেকে ৬ বছর বয়সের শিশুদের শিক্ষাদান অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি  প্রজেক্ট। সরকার এই বয়সের শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার কথা বলে প্রাথমিক স্কুলে স্থানান্তর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আসলে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র সমূহে কোনো দিন সরকার উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা, আসবাবপত্র, বিদ্যুতের ব্যবস্থা ইত্যাদি তৈরি করে দেয় নি। এছাড়া বহু কেন্দ্র ডেমেজ হয়ে পড়ে আছে। কোথাও আবার নেই কোনো কেন্দ্র ঘর।  নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে আছে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র সমূহ।  এই অবস্থায় শিক্ষাদান প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে অনেকাংশে সম্ভব হয়ে উঠেনি।   উপযুক্ত পরিকাঠামো ও শৈক্ষিক পরিবেশ গড়ে দিলে  তারা নিজেরাই ৩ থেকে ৬ বছরের শিশুদের শিক্ষাদানে আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলেও সভায় মত পেশ করেন। তবুও কোনো অবস্থায় অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের শিক্ষাদান প্রক্রিয়া মতো  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ কেটে নিতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি বেতন বৃদ্ধি ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিও তুলেন তারা। অন্যথায় আসাম রাজ্যিক অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী সহায়িকা সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন অধিবেশনে বিধানসভা ঘেরাও কর্মসূচি সহ নানা আন্দোলনে নামবেন তারা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  ছিলেন, আসাম রাজ্যিক সিটুর সম্পাদক সুরজিৎ ঘোষ, সিটুর কাছাড় জেলা কমিটির সম্পাদক বিধান গুপ্ত, কাছাড় জেলা অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী সহায়িকা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জর্না দাস, কাটিগড়া আইসিডিএস প্রকল্প কমিটির সভানেত্রী স্বপ্না বেগম, ইসলাম উদ্দিন প্রমুখ।

Friday, 11 September 2020

শাহসুফি ইব্রাহিম আলী (রহঃ) ও টান্টুর পীর সাহেব এর স্মৃতিচারণ সভা কাটিগড়া যুব আহলে সুন্নতের

আরটিএন, কাটিগড়া , ১১ সেপ্টেম্বরঃ সদ্যপ্রয়াত  বরাক উপত্যকার দুই আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব টান্টুর পীর সাহেব  শাহসুফি আতাউর রহমান চৌধুরী (রহঃ) ও কাটিগড়ার হজরত মাও  ইব্রাহিম আলী (রহঃ) এর স্মরণে  দোয়া ও আলোচনা মাহফিল অনুষ্ঠিত হলো কাটিগড়ায়। যুব আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের কাটিগড়া আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে ও তেলিটিকর জামেয়া মুবাশ্বিরিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে খতমে কুরআন, খতমে খাজেগান, মিলাদ শরিফ, শিরনী বিতরণ সহ  নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছিল প্রয়াত দুই পীর সাহেবের জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা সভাও। 
ছবিঃ- বক্তব্য রাখছেন পশ্চিম কাটিগড়া আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সাধারণ সম্পাদক মাও এনাম উদ্দিন সাহেব।             

 কাটিগড়া যুব আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে আয়োজিত এই মাহফিলে বিভিন্ন বক্তা প্রয়াত দুই আধ্যাত্মিক বুজুর্গের জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুজুর্গ হজরত ইব্রাহিম আলী কাটিগড়ী (রহঃ) ও টান্টুর পীর শাহসুফি আতাউর রহমান চৌধুরী (রহঃ) আজীবন ছিলেন প্রচার বিমুখ। সহায়- অসহায়, ধনি-গরিব সকলের প্রতি তাদের ছিল সমান ভালোবাসা। অত্যন্ত বিনয়ী স্বভাব সহ সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন  তাঁরা। বিপদে-আপদে  অভিভাবকের ভুমিকা দেখা যেত তাদের। এজন্য প্রয়াত দুই পীর সাহেব ছিলেন    সমাজের সর্বস্তরের মানুষের আশ্রয় স্থল। তাদের প্রয়াণে উপত্যকার আধ্যাত্মিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো বলেও বিভিন্ন বক্তা  মত পোষণ করেন। 
 কাটিগড়া যুব আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সভাপতি মাওলানা সরফ উদ্দিন তালুকদারের পৌরোহিত্যে আয়োজিত এই স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, কাছাড় জেলা যুব আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সভাপতি মাওলানা রশিদ আহমদ,  পশ্চিম কাটিগড়া আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনাম উদ্দিন, শিলচর আন নূর সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ইমান উদ্দিন, জামেয়া মুবাশ্বিরিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও সুহেল আহমদ কাজী, মুফতি আব্দুস ছুবহান, নুননগরী পীর সাহেব,   জানাব মুহিবুর রহমান প্রমুখ। সভাশেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন হজরত মাও মইন উদ্দিন কাজী তেলিটিকরী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বড়হাইলাকান্দি সিনিওর মাদ্রাসার শিক্ষক মাও আলা উদ্দিন,  হাফিজ মাশুক আহমদ, মাও জসিম উদ্দিন,  মাও আতিকুর রহমান প্রমুখ।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে স্মরণ করলো কালাইন কংগ্রেস

আরটিএন, কালাইন, ০৮ সেপ্টেম্বর ঃ কালাইন ব্লক কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে ভারতরত্ন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির প্রয়াণে স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় রবিবার। ব্লক কার্যালয়ে সকাল ১১ ঘটিকায় ব্লক সভাপতি বিশাল সরকার প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন । সভাপতি বিশাল জানান বাঙ্গালী জাতির গর্ভ ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। প্রয়াতের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন প্রয়াতের মৃত্যুতে দেশের অফুরন্ত ক্ষতি হয়েছে বলে মত ব্যক্ত করেন তিনি । ব্লক সভাপতি প্রয়াত প্রাক্তন  রাষ্ট্রপতির কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন প্রণব মুখার্জী একজন দক্ষ রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। শিক্ষকতার পেশা থেকেই তার জীবনের যাত্রাপথ শুরু করে পরবর্তীতে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে দেশের বিদেশমন্ত্রী,অর্থমন্ত্রী,
প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়ীত্ব সুনামের সহিত পালন করছেন  তিনি। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অগ্রণী ভূমিকা ছিল প্রয়াত মুখার্জির। ব্লক কমিটির উপ-সভাপতি জাকির হোসেন খান প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন বাঙ্গালী জাতির অহংকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির এক চানক্য। ইউপিএ সরকারের প্রথম কার্যকালে দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়ীত্বে থাকাকালে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক সংস্কারের পাশাপাশি কৃষকদের সুবিধার্থে প্রায় ৬০ (ষাট) হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মুকুব করেছিলেন প্রয়াত প্রণব মুখার্জী। সভায় উপস্থিত বিভিন্ন বক্তারা প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং প্রয়াতের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। সভায় প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান সহ পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন পূর্বক প্রয়াতের আত্মার চিরশান্তি কামনা করে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তাছাড়া টাণ্টুর মাজারশরীফের প্রয়াত পীর আতাউর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে কালাইন ব্লক কংগ্রেস কমিটির তরফে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয় এদিন। ব্লক সভাপতি বিশাল সরকারের পৌরোহিত্যে অনুষ্ট্তি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্লক কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক সাজাহান উদ্দিন, উপ-সভাপতি আছাদ উদ্দিন বড়ভূইয়া,ভৈরবপুর জিপির সভাপতি দীপণ রায়,কালাইন জিপির সভাপতি মৃদুল কান্তি রায়, মুহি উদ্দিন,মুজিবুর রহমান,মহেন্দ্র বৈষ্ণব সহ অন্যান্যরা।

Saturday, 5 September 2020

শাহসুফি হজরত ইব্রাহিম আলী কাটিগড়ী (রহঃ) এর প্রয়াণে গভীর শোক যুব আহলে সুন্নতের


আরটিএন,  কাটিগড়া, ১ সেপ্টেম্বরঃ- গ্রাম কাটিগড়ার সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ আলিমে দ্বীন হজরত মাও ইব্রাহিম আলী (রহঃ) এর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করলো কাটিগড়া যুব আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত। এক বিবৃতিতে কাটিগড়া যুব আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সভাপতি মাও সরফ উদ্দিন তালুকদার বলেন,  শাহসুফি হজরত মাওলানা ইব্রাহিম আলী (রহঃ)  গ্রাম কাটিগড়ার সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। আজীবন  ছিলেন  প্রচারবিমুখ ।  আধ্যাত্মিক গুণ অর্জন করে   উচুমাপের আল্লাহ ওয়ালা হয়েছিলেন তিনি। তাঁর আধ্যাত্মিক গুরু ছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রখ্যাত বুজুর্গ  হজরত আল্লামা ওয়াজিহ উদ্দিন রামপুরী (রহ)। এছাড়াও তিনি শামছুল উলামা হজরত আল্লামা ফুলতলী (রহঃ) এর সহচর ছিলেন তিনি।  গ্রাম কাটিগড়ার সবাই তাঁকে "কাটিগড়ার মৌলইছাব" বলে ডাকতো। বিপদেআপদে তিনিই ছিলেন এ অঞ্চলের ভরসাস্থল। কি হিন্দু, কি মুসলমান, সকলেই তাঁর দোয়া ও আর্শীবাদ নিতে ছুটতো "কাটিগড়ার মৌলইছাব" এর বাড়িতে। হাজারো গুণে গুণান্বিত হয়েও অতি সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন তিনি। বৃদ্ধ বয়সেও অটোরিকশা নিয়েই কাটিগড়ার এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম ঘুরে বেড়াতেন। কালাইন-কাটিগড়ার ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে তিনিই থাকতেন সভাপতির আসনে।  তার সংক্ষিপ্ত বয়ান আর দোয়া মানুষের হৃদয়ে আত্মতৃপ্তি নিয়ে আসতো।  এক কথায় তিনিই ছিলেন কাটিগড়ার অভিভাবক। মাও সরফ বলেন, তিনি কতু উচু পর্যায়ের ওলি আল্লাহ ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া গেছে উনার নামাজে জানাজায়। লকডাউন সত্ত্বেও কয়েকহাজার মানুষের উপস্তিতি তাঁর জনপ্রিয়তার প্রমাণ করে।  কাটিগড়ী হুজুরের  চিরবিদায়ে গোটা কাটিগড়ায় যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো তা কোনো দিনই পূরণ হবে না।  তিনি মরহুমের জান্নাতুল ফেরদৌস নছিব সহ পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সসহমর্মিতা জানান।

মাস্ক ও স্যানিটাইজেশনের খাতে বরাদ্দ প্রায় অর্ধ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ কাটিগড়ায়



আরটিএন, কাটিগড়া , ৫ সেপ্টেম্বরঃ- মাস্ক বিতরণ ও সেনিটাইজ করার নামে বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠছে কাটিগড়ায়। অভিযোগ মতে,    জবকার্ড হোল্ডারদের  মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ ও প্রত্যেক গাও পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, মন্দির-মসজিদ, হাটবাজার এবং জনবহুল এলাকা নিয়মিত  সেনিটাইজ করার জন্য বিভাগীয় তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়। এখাতে  চতুর্দশ অর্থ কমিশনের ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে প্রায় দু লক্ষ টাকা করে প্রত্যেক জিপিতে বরাদ্দ হয়। অভিযোগ মতে,  প্রত্যেক জিপিতে প্রায় দুই হাজার মাস্ক বিতরণ করার নির্দেশ থাকলেও বাস্তবে বড়জোর পাঁচশো-র মতো   মাস্ক বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন জনবহুল এলাকা ও প্রতিষ্ঠানগুলি নিয়মিত সেনিটাইজ করার নির্দেশ থাকলেও বাস্তবে জিপির মাধ্যমে কোনো সেনিটাইজ করা হয় নি। কাটিগড়া দমকল বাহিনী কর্তৃক কিছু কিছু স্থানে সেনিটাইজেশন করা হয়েছে লকডাউন সময়ে। দমকল বাহিনীর সেনিটাইজ প্রক্রিয়া কে জিপি ভিত্তিক সেনিটাইজেশন প্রক্রিয়া বলে দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নামমাত্র মাক্স যেগুলা বিলিয়ে  দেওয়া হয়েছে তাও অতি নিম্নমানের।
  দু তিনটি জিপি ব্যতিত কাটিগড়া ও কালাইন উন্নয়ন খণ্ডের পঁচিশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছবি প্রায় একই। সংশ্লিষ্ট জিপি সভাপতি ও সচিবরা মিলে এই মোটা অংকের টাকা উদাও করেছেন বলে অভিযোগ সচেতন জিপি নাগরিকদের । তাদের মতে, জিপির জনবহুল এলাকা নিয়মিত সেনিটাইজেশন  না করার ফলে অতিমারী করুণা ভাইরাস আজ কমুউনিটি ট্রেন্সমিশন হয়েছে। গ্রাম কাটিগড়ার বিভিন্ন এলাকার করুণায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। নিয়মিত সেনিটাইজেশন করা হলে আজ এই অবস্থা হতো না।  সরকার করুণা ভাইরাসের থাবা থেকে আমজনতাকে রক্ষা করতে  একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করছে করুণা খাতে। আর এই সুযোগে একদল স্বার্থান্বেষী লোক উটেপড়ে লেগেছে তাদের উদরপূর্তি করারজন্য৷ কাটিগড়া-কালাইনে মাস্ক বিতরণ ও সেনিটাইজেশনের জন্য বরাদ্দ সমষ্টির  পঁচিশ জিপি মিলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই বৃহৎ পরিমাণ টাকা নয়ছয় করে পকেটস্থ করার বিষয়টি তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আমজনগণ।   দুর্নীতিগ্রস্থ সংশ্লিষ্টদের   বিচারের আওতায় এনে এই মহামারীর সময় দুর্নীতিতে লিপ্ত হওয়ার কড়া শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ফের নক্ষত্র পতন, টান্টুর পীর সাহেবের ইন্তেকালে শোক বিভিন্ন মহলে



আরটিএন, হাইলাকান্দি, ৫ সেপ্টেম্বরঃ- ঐতিহাসিক টান্টু দরবার শরীফের বর্তমান 
পীর সাহেব শাহসুফি  আলহাজ্ব হযরত মাও আতাউর রহমান চৌধুরীর চিরবিদায়ে গোটা বরাক উপত্যকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রয়াত পীর সাহেবের মৃত্যু সংবাদে বিভিন্ন মহল থেকে শোকবার্তা দেওয়া হয়েছে। শোকবার্তা সহ পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন উজানডিহির পীর সাহেব শাহসুফি সায়্যিদ জুনাইদ আহমদ মদনী, ভারত লতিফিয়া দারুল ক্বিরাত সমিতির সভাপতি শাহসুফি সায়্যিদ মুস্তাক আহমদ মদনী।
যুব আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মুখ্য উপদেষ্টা  হজরত মাও আনোয়ার উদ্দিন তালুকদার শোকবার্তায় বলেন,  প্রয়াত টান্টুর  পীর সাহেব ছিলেন সকল জাতি গোষ্ঠী মানুষের আপনজন। তাঁর হাসিমুখ আর অমায়িক ব্যবহার বার বার ভক্তদের মনে ভেসে উটবে। তাঁর প্রয়াণে আমরা একজন অভিভাবক কে হারালাম।   নর্থ ইষ্ট লতিফিয়া ক্বারী এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক হজরত মাও আজিজুর রহমান লতিফি এক শোকবার্তায় জানান,   টান্টুর পীর সাহেব শাহসুফি আলহাজ্ব আতাউর রহমান চৌধুরীর  অকাল ইন্তেকালে বরাকের তাসাউফ জগতে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হল। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বরাকের সকল মানুষের এক নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্হল আজ আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেল।   উত্তর পূর্বাঞ্চল যুব আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সাধারণ সম্পাদক হজরত মাও আব্দুল আহাদ হানাফি বলেন,  একে একে বরাকের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বরা আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন না ফেরার দেশে। এটা আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। তাঁর অবর্তমানে বরাকের আধ্যাত্মিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো, যা কোনো দিন পূরণ হবে না। 
কাছাড় জেলা যুব আহলে সুন্নত, বিশিষ্ট সমাজসেবী কাটিগড়া ইউডিএফের নেতা খলিল উদ্দিন মজুমদার,  কংগ্রেস নেতা দাইয়ান হুসেন, রাহুল আলম লস্কর সহ একাধিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন   আলহাজ্ব আতাউর রহমান চৌধুরী পীর সাহেব টান্টুর প্রয়াতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের আত্মার চিরশান্তি সহ পরিবারের প্রতি সমবেদনা  জানিয়েছেন।

Thursday, 20 August 2020

করোনা পজিটিভের সম্পর্কে থাকা কমরুলের টেস্ট করতে গিয়ে হামলার শিকার স্বাস্থ্যকর্মীরা, থানায় মামলা, ক্ষোভ এলাকায়


এইচ,এ চৌধুরী,  কাটিগড়া, ২০ আগষ্ট ঃ কাটিগড়া তৃতীয় খণ্ডের বাসিন্দা আঙ্গনওয়াদী কেন্দ্রের কর্মী কোভিড নাইনটিন পজিটিভ রোগী ছালেহা বেগম লস্করের সংস্পর্শের লোকদের সোয়াব টেস্ট করতে গিয়ে ছালেহার দেবর কমরুল ইসলাম লস্করের হাতে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন একই গ্ৰামের বাসিন্দা তথা জলালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীন কর্মরত ব্লক প্রোগ্রাম মেনেজার (বিপিএম) বুরহানুল হক চৌধুরী। সঙ্ঘটিত সমুহ ঘটনার বিবরন জানিয়ে ছালেহার দেবর অভিযুক্ত কমরুলের বিরুদ্ধে ১৭ আগষ্ট সোমবার কাটিগড়া থানায় মামলা রুজু করছেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনস্থ কর্মী বিপিএম বুরহানুল হক চৌধুরী। মৃত এনামুল হক চৌধুরীর পুত্র বুরহানুল হক চৌধুরীর দেওয়া এজাহারের বয়ানমতে ঘটনার রবিবরনে প্রকাশ ১৬ আগষ্ট রবিবার জলালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাঃ সুমন ভৌমিকের নির্দেশে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমপিডব্লিউ কর্মী দীপক সাহা,স্থানীয় আশা কর্মী রোসনা বেগম সহ বিপিএম বুরহানুল হক চৌধুরী ও অন্যান্যরা কোভিড নাইনটিন পজিটিভ রোগী ছালেহার বাড়ির সংস্পর্শের লোকদের সোয়াব টেস্ট করতে  সালেহার বাড়িতে যান বিকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকায়। আশা কর্মী রোসনা ও দীপক সাহা সহ অন্যান্যরা হোম আইসলেশনে থাকা কোভিড-পজিটিভ রোগী ছালেহার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ছালেহার সংস্পর্শের লোকদের রেপিড এণ্টিজেন্স টেস্টের মাধ্যমে সোয়াব টেস্টের কথা জানালে ছালেহার দেবর কমরুল প্রথমে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের জিজ্ঞাসা করে জানতে চায় কে বা কাহারা তার বাড়িতে তাদেরকে পাঠিয়েছে,জবাবে আশা কর্মী রোসনা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশের কথা শুনালে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে তৎসঙ্গে বিপিএম বুরহানুল হককে উদ্দেশ্যে করে নানা ধরনের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে পাশাপাশি স্বাস্থ্য কর্মীদের সম্মুখে বুরহানুলকে মারধরের হুমকি দিয়ে রাখে কমরুল। এসময় বিপিএম বুরহানুল হক আশা কর্মী রোসনা সহ অন্যান্যদের সঙ্গে  ছালেহার বাড়িতে প্রবেশ করেন নাই। মুলত ডাক্তারের নির্দেশে সঙ্গে থাকা স্বাস্থ্য কর্মীদের ছালেহার বাড়ির পথ দেখিয়ে দিয়ে ছালেহার বাড়ি থেকে কিছু দূরবর্তী স্থানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বুরহানুল। স্বাস্থ্যকর্মীরা এদিন ছালেহার বাড়িতে সোয়াব টেস্টর জন্য উপস্থিত হলে ছালেহার ঘরের লোকেরা প্রথমে সোয়াব টেস্ট করাতে রাজি হয় নাই,একসময় আশা কর্মী রোসনা ছালেহার পরিবারের লোকেদের বুঝিয়েসুজিয়ে ছালেহার  স্বামী ফয়জুর রহমান লস্কর সহ ছেলে,মেয়েদের সোয়াব টেস্ট করান এদিন, এতে ছালেহার ২ মেয়ের গায়ে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে,যাহার পরিপেক্ষিতে ছালেহার দেবর কমরুলকে তার সোয়াব টেস্ট করাতে অনুরোধ জানায় আশাকর্মী রোসনা, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কমরুল নিজের গায়ের সোয়াব টেস্ট করার পরিবর্তে আশাকর্মী সহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে পুনরায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে তৎসঙ্গে বিপিএম বুরহানুল হককে মারধর করার জন্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বুরহানুলকে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় পেয়ে  অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুরহানুলের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়,ঠিক ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্ৰোফ সদস্য স্থানীয় আলতাবুর রহমান ও খলিল উদ্দিন সহ অন্যান্যরা কমরুলের হাত থেকে বুরহানুলকে কোনক্রমে রক্ষা করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করছেন বুরহানুল। বিপিএম বুরহানুলের উপর প্রাণঘাতী হামলা সহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহারের জেরে এমপিডব্লিউ কর্মী সংস্থার জেলা কমিটির তরফে স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা যুগ্ম  সঞ্চালকের মাধ্যমে সমুহ ঘটনার বিবরন জানিয়ে কাছাড়ের জেলাশাসক সহ পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপির প্রদান করে তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বলে জানা গেছে, উপরন্তু বুরহানুল হক চৌধুরীর উপর প্রাণঘাতী হামলা সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের সহিত অভ্যভ্য আচরণকারী অভিযুক্ত কমরুলকে সত্তর গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংস্থা বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে বিপিএম বুরহানুল হক চৌধুরীর উপর প্রাণঘাতী হামলায় জড়িত অভিযুক্ত কমরুলের বিরুদ্ধে তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কাটিগড়া থানার ওসি নয়ন মনি সিং এর কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন জলালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ ডাঃ সুমন ভৌমিক সহ কাটিগড়া মডেল হাসপাতালের উপ-অধিক্ষক ডাক্তার রত্মা চক্রবর্তী। একই ভাবে বিপিএম বুরহানুল হকের উপর প্রাণঘাতী হামলার দায়ে অভিযুক্ত কমরুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসি নয়ন মনি সিনহাকে  নির্দেশ দিয়েছেন কাটিগড়ার সার্কেল মেজিষ্ট্রেট প্রাণজিত দেব বলে জানা গেছে। তবে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী বুরহানুল হকের দায়েরকৃত মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত করছে কাটিগড়া পুলিশ,যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলার তদন্তের দায়ীত্বে থাকা এস,আই ডি শর্মা অভিযুক্ত কমরুলকে এখনও করায়াত্ত করতে পারেন নাই। এদিকে সঙ্ঘটিত ঘটনার ৪/৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও বুরহানুলের উপর হামলাকারী অভিযুক্ত কমরুলকে গ্রেপ্তার না করায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী সহ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

Monday, 17 August 2020

বদরপুর স্টিমার ঘাটের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হাজী নামর আলী প্রয়াত, শোক বিভিন্ন মহলে




আরটিএন মিডিয়া, কাটিগড়া , ১৭ আগষ্ট ঃ কর্কট রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর অবশেষে পরপারে পাড়ি দিলেন   কাটিগড়া তৃতীয় খণ্ডের বাসিন্দা তথা কেন্দ্রীয় জল পরিবহন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বিশিষ্ট সমাজসেবী হাজী নামর আলী তালুকদার।  সোমবার  দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটের সময় নিজ বাসভবনেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর  বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী সহ দুই ছেলে,চার মেয়ে,নাতি,নাতনি সহ অসংখ্য গুণমুগ্ধদের। কাটিগড়া বিধানসভা যুব কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুনিম তালুকদারের পিতা  প্রয়াত নামর আলী তালুকদারের  মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। অসংখ্য গুণমুগ্ধরা শেষ দেখা দেখতে প্রয়াতের বাড়িতে ভীড় জমান। পরে  এদিন   সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটের সময় নিজ বাড়ির সংলগ্ন স্থানে নামাজে জানাজা  আদায়  শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাপনকার্য্য সম্পন্ন করা হয় প্রয়াতের। কর্মজীবনে 
  প্রয়াত নামর আলী তালুকদার  কেন্দ্রীয় জল পরিবহন বিভাগের বদরপুর স্টিমার  ঘাট কার্যালয়ে এবং পরে এখান থেকে বদলি হয়ে বিভাগের করিমগঞ্জ ডিভিশন কার্যালয়ে নিষ্ঠার সাথে কর্তব্য পালন করে ২০০৩ সালে অবসর গ্ৰহণ করেন। চাকরি জীবন শেষে তিনি    সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে রেখেছিলেন আজীবন। 
এদিকে প্রয়াত হাজী নামর আলী তালুকদার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন উত্তর পূর্বাঞ্চল যুব আহলে সুন্নতের মুখ্য উপদেষ্টা হজরত মাও আনোয়ার উদ্দিন তালুকদার,  কাটিগড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হুসেন আহমদ চৌধুরী,এআইইউডিএফ নেতা হাজী খলিল উদ্দিন মজুমদার,  দলের কাটিগড়া  সমষ্টি সভাপতি আতাউর রহমান লস্কর ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুর রহমান বড়ভুইয়া, দক্ষিণ কাটিগড়া জেলাপরিষদ সদস্য অসীম দত্ত, কাটিগড়া জিপির জিপি সভাপতি মনছুর আহমদ,ফুলবাড়ি জিপির জিপি সভাপতি ইকবাল আলম বড়ভুইয়া, কাটিগড়া সমষ্টি যুব কংগ্রেস কমিটির  সভাপতি মাছুম আহমদ,যুব কংগ্রেস সমষ্টি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার চৌধুরী,সামছুল ইসলাম লস্কর, খালেদ আহমদ তালুকদার , তারিক আজিজ বড়ভুইয়া,ব্লক কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক লস্কর, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, মৃদুল নাগ, নিরঝর দাস, প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য বিশ্বজিৎ মালাকার,পূর্ব কাটিগড়া জেলাপরিষদ সদস্যার প্রতিনিধি আয়নূল হক বড়ভুইয়া অন্যান্যরা।
ছবিঃ- প্রয়াত নামর আলীতালুকদারের ফাইল ছবি।    

Friday, 14 August 2020

যুব কংগ্রেস নেতা কে মারধর করার হুমকিভরা পোস্ট ফেসবুকে, মামলা কাটিগড়া থানায়



RTN Media: - ফেসবুকের মাধ্যমে মারধরের হুমকি সহ নানা আপত্তিকর পোস্ট করার পরিপ্রেক্ষিতে বহিস্কৃত কংগ্রেস নেতা  জাহাঙ্গির আলম লস্করের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হলো কাটিগড়া থানায়।  মামলা করলেন কাটিগড়া বিধানসভা যুব কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুকন উদ্দিন তালুকদার।
ছবিঃ- কাটিগড়া থানায় দায়ের করা মামলার কপি। 
    
 মামলার বয়ান মতে,  "আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর শান্ত" নামের ফেসবুক  একাউন্ট থেকে  জাহাঙ্গির আলম লস্কর লেভারপুতা জিপির  রুকন উদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে মারধর করা সহ নানা হুমকি ভরা  পোস্ট দিতে থাকেন।  পোস্টে তিনি লিখেন, "আমি রুকন দালালরে কইতার তর যদি ক্ষমতা থাকে আর মার দুধ খাছ বাইর হইয়া আয়"। এসময় যুব কংগ্রেসের ঐ নেতা জরুরি কাজে কাটিগড়া  সার্কেল অফিসে অবস্থান করছিলেন। মামলার বয়ান মতে, জাহাঙ্গীর তার দলবল নিয়ে  রুকন উদ্দিনের পিচুধাওয়া করে কাটিগড়ায় চলে আসেন।  রুকন উদ্দিন কে খোজাখুজি করেন। না পেয়ে আবার ফেসবুকে পোস্ট দেন অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর। এবারে তিনি লিখেন, "হিতায় গিয়া পাইলা না জাগাত, কুত্তার লাকাইন বাগিছে"। আবার ফেসবুকের অন্য একটি পোস্টে তিনি লিখেন, "লেভারপুতার এক দুই টেকি জি হুজুর গেংগের দালাল সীমা ছাড়ি দের, মাটিত ফালাইয়া খালি গরু ফিটা দিমু, সময় একদম কাছাই গেছে"। এছাড়াও আরও বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে মামলার বয়ানে উল্লেখ রয়েছে। দায়ের করা  মামলায় রুকন উদ্দিন  বলেন,  তিনি যেকোনো সময় হামলার শিকার হতে পারেন। তার প্রাণনাশের আশংকা রয়েছে।  তাই তিনি পুলিশের দারস্থ হয়ে  উপযুক্ত তদন্ত ক্রমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার আর্জি জানিয়েছেন।
ছবিঃ-হুমকিভরা ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট।