Monday, 28 September 2020

আনলকেও লক তারিনীপুর জিপি অফিস, নথিপত্র যোগাড়ে চরম বেকায়দায় জনগণ, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিস্ক্রিয় ভুমিকায় ক্ষোভ

আরটিএন টিবি লাইভ , পূর্বকাটিগড়া,  ২৮, সেপ্টেম্বরঃ- 
জিপি সার্টিফিকেট সহ গাও পঞ্চায়েত স্তরের বিভিন্ন সরকারি নথিপত্র যোগাড় করতে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন কাটিগড়া উন্নয়ন খন্ডের অন্তর্গত তারিনীপুর জিপির আমজনগণ।  বুধবার স্থানীয় করিম উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল বাছিত বেগ, মাওলানা সরফ উদ্দিন, আব্বাস উদ্দিন তালুকদার, কুতুব উদ্দিন প্রমুখরা ক্ষোভ প্রকাশ করে  বলেন, প্রতিদিন জিপি সার্টিফিকেট, মৃত্যুর প্রমাণ পত্রের আবেদন, টেক্স প্রদান, ছাত্রবৃত্তির জন্য ইনকাম সার্টিফিকেট সহ নানা কাজে গাও পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরুষ-মহিলারা জিপি অফিসে ছুটে  আসেন। 

ঘন্টার পর ঘন্টা তারা জিপি সচিব, টেক্সকালেক্টার ও অন্যান্য সরকারি আমলাদের অপেক্ষা করেন। কিন্তু আখেরে কোনো সরকারি আমলার টিকির নাগাল পাওয়া যায় না।  দীর্ঘদিন থেকেই বনধ পড়ে রয়েছে তারিনীপুর জিপি অফিসের কার্যালয়। এমনকি অফিস গৃহের তালা পর্যন্ত খোলা হয় না। কোবিড১৯ এর জন্য যে লকডাউন করা হয়েছিল তা আজও অব্যাহত রয়েছে তারিনীপুর জিপি অফিসে। দীর্ঘদিন থেকে বনধ পড়ে থাকার ফলে কার্যালয়ের আশাপাশে নোংরা পরিবেশ গড়ে উঠেছে। ছোটো থেকে ছোটো কোনো কাজের প্রয়োজনে পঞ্চায়েত সভানেত্রী সায়রা বেগম ও টেক্সকালেক্টার অসিম দাসের বাড়িতে যেতে হয়। কিন্তু বাড়িতে গিয়েও বেশির ভাগ সময় তাদের দেখা মেলে না। এজন্য পঞ্চায়েত স্তরের বিভিন্ন অতিপ্রয়োজনীয় নথিপত্র যোগাড় করতে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে চুড়ান্ত বেকায়দায় পড়েছেন জিপির আম জনগণ। তারা আরও বলেন, এই কয়দিন আগে অলক ঘোষ নামের একজন   তারিনীপুর জিপির সচিবের  দায়িত্বগ্রহণ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এলাকার জনগণের সাথে  দেখা সাক্ষাৎ করা বা অন্তত একদিনও অফিসে আসার প্রয়োজন বোধ  করেন নি তিনি। এই কদিন আগে  তিনি চুপিসারে পঞ্চায়েত সভানেত্রী সায়রা বেগমের বাড়িতে গিয়ে পরিচিত সভা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  জিপি অফিসের কার্যালয় রেখে সভানেত্রীর বাড়িতে কেন পরিচিতি সভা ? এমন প্রশ্নও তুলেন তারা। এর জন্য জিপির সিংহভাগ পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধিরাও সমানভাবে দায়ী । তারা আমলাদের কথায় উঠা বসা করেন। জনগণের  গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে সম্পূর্ণ নিস্ক্রিয় ভুমিকা পালন করে চলেছেন জিপির পঞ্চায়েত সভানেত্রী সহ গ্রুফ সদস্যরা।  তারা যদি পঞ্চায়েত অফিসে পরিচিতি সভার কথা বলতেন তাহলে অবশ্যই নতুন সচিব জিপি অফিসে  সভা করতে বাধ্য হতেন। কিন্ত তা না করে আমলাদের কথায় ওঠবস করে চলেছেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। কারণ যদি সচিব সহ অন্যান্য আমলারা বিরাগভাজন হয়ে যান তাহলে  এনজিআরএস, জিপিডিপি সহ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে পকেট ভারী করার ভাড়া ভাতে ছাই পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ত্রিস্তরের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা জি হুজুর জি হুজুর করে আমলাদের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়ান । পাশাপাশি তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন, অনতিবিলম্বে জিপি কার্যালয় সচল করে যথারীতি কাজ-কর্ম চালিয়ে যেতে সরকারি আমলাদের কড়া নির্দেশ দেওয়ার দাবী জানান। অন্যথায় আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আজকের এই  ক্ষোভ প্রকাশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাশুক আহমদ, ফয়সাল উদ্দিন, ছারিমুল হক, ছয়দুর রহমান সহ অন্যান্যরা।

No comments:

Post a Comment

Thanks for your Valuable comment