চাকরি যাওয়ার আশংকা তাড়া করছে কর্মী-সহায়িকাদের,
দাবি না মানলে বিধানসভা ঘেরাও কর্মসূচি অক্টোবরে
RTN tv Live, কালাইন, ১৪ সেপ্টেম্বরঃ-
নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি লাঘু হলে সিদুরে মেঘ দেখছেন আসাম রাজ্যিক অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী সহায়িকা সংস্থার কর্মকর্তারা। এমনকি এই জাতীয় শিক্ষা নীতির ফলে রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র সমূহ বন্ধ সহ তাদের চাকরি চলে যাওয়ার আশংকাও তাড়া করছে তাদের। তাই আগেভাগেই চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি ও জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী ৩ বছর থেকে ৬ বছর বয়সের শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক স্কুলে স্থানান্তর না করার দাবীতে আন্দোলনের রূপ রেখা তৈরি করতে সারা রাজ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী-সহায়িকারা।
এরই অঙ্গ হিসেবে শনিবার কালাইন ইউনিভার্সেল একাডেমিতে কাটিগড়া-কালাইন আইসিডিএস প্রকল্পের প্রায় পাঁচ শতাধিক ওয়ার্কার-হেপ্লারের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আসাম রাজ্যিক অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী-সহায়িকা সংস্থার কাটিগড়া প্রজেক্ট কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় বিভিন্ন বক্তা অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী-সহায়িকাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়ার দাবি তুলে ধরেন। পাশাপাশি তারা বর্তমান রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করে বলেন, সুদীর্ঘ কাল থেকে থেকে তারা নুন্যতম পারিশ্রমিকে কাজ করে আসতেছেন। কিন্তু আসাম সরকার কোনো দিন তাদের ন্যায্য মূল্যায়ন করে নি। কেরলের রাজ্য সরকার সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার ঠিক উল্টো পথেই হাটছেন আসাম সরকার। বর্তমানে জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে ৩ থেকে ৬ বছরের শিশুদের প্রাথমিক স্কুলে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে খবর রটিয়েছে। তাই যদি হয়, তাহলে কার্যত আসামে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র বন্ধ করার পথেই হাটছে সরকার। কারণ ৩ থেকে ৬ বছর বয়সের শিশুদের শিক্ষাদান অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজেক্ট। সরকার এই বয়সের শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার কথা বলে প্রাথমিক স্কুলে স্থানান্তর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আসলে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র সমূহে কোনো দিন সরকার উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা, আসবাবপত্র, বিদ্যুতের ব্যবস্থা ইত্যাদি তৈরি করে দেয় নি। এছাড়া বহু কেন্দ্র ডেমেজ হয়ে পড়ে আছে। কোথাও আবার নেই কোনো কেন্দ্র ঘর। নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে আছে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র সমূহ। এই অবস্থায় শিক্ষাদান প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে অনেকাংশে সম্ভব হয়ে উঠেনি। উপযুক্ত পরিকাঠামো ও শৈক্ষিক পরিবেশ গড়ে দিলে তারা নিজেরাই ৩ থেকে ৬ বছরের শিশুদের শিক্ষাদানে আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলেও সভায় মত পেশ করেন। তবুও কোনো অবস্থায় অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের শিক্ষাদান প্রক্রিয়া মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ কেটে নিতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি বেতন বৃদ্ধি ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিও তুলেন তারা। অন্যথায় আসাম রাজ্যিক অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী সহায়িকা সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন অধিবেশনে বিধানসভা ঘেরাও কর্মসূচি সহ নানা আন্দোলনে নামবেন তারা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছিলেন, আসাম রাজ্যিক সিটুর সম্পাদক সুরজিৎ ঘোষ, সিটুর কাছাড় জেলা কমিটির সম্পাদক বিধান গুপ্ত, কাছাড় জেলা অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী সহায়িকা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জর্না দাস, কাটিগড়া আইসিডিএস প্রকল্প কমিটির সভানেত্রী স্বপ্না বেগম, ইসলাম উদ্দিন প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your Valuable comment