ঐতিহাসিক, হ্যাঁ ঐতিহাসিক বটে আজকের দিনটি। একদিকে আনন্দ উল্লাস অন্যদিকে কালো দিবস এই দুইয়ের সংমিশ্রণে আজকের দিনটি গোটা ভারতবাসীর জন্য ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ সুদীর্ঘ কয়েক দশকের লড়াই শেষে আজ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের যাত্রা শুরু হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে। শুভক্ষণে রামমন্দিরের ভুমিপূজা সেরে জাতির উদ্দেশ্যে সারগর্ভ বক্তব্য রেখেছেন খোদ প্রধান সেবক। রামমন্দির নির্মাণে জাতীয় একতা, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা আরও মজবুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। করুনা সংকট উপেক্ষা করে জাকজমক ভাবে অনুষ্ঠিত হয় আজকের এই মহাআয়োজন।
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ না রামমন্দির, এনিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চালিয়ে যান দুইও পক্ষ। এরমধ্যে অযোধ্যা নিয়ে বহু রাজনীতির দেখেছে ভারতবাসী। ভোট আসলেই রাম মন্দির মুদ্দা প্রকট হতো, আর ভোট শেষ হলেই সব শেষ। এভাবেই কয়েক দশক চলার পর সর্বশেষে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি রঞ্জিত গগৈ নেতৃত্বাধীন বিচারক মণ্ডলী অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণের পক্ষে ঐতিহাসিক রায় ঘোষনা করেন। আর রায় ঘোষনার পর থেকে রামমন্দির নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়। অবশেষে আজ রামলালায় ভিত্তি স্থাপন হলো অযোধ্যায়।
এই সন্ধিক্ষণে রামভক্তদের উল্লাস আর আনন্দ যেমন দেখা গেছ তেমনি বাবরি মসজিদ ভক্তদের দুঃখ আর বেদনার বহিঃপ্রকাশ পরিস্কার দেখা গেছে। গোটা ভারতের সঙ্গে তালমিলিয়ে আনন্দ-দুঃখের সংমিশ্রণের সাক্ষী থাকলো বরাক উপত্যকাও। আজ বরাকের বিভিন্ন স্থানে রামভক্তরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা গেছে। আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সংগঠন গুলির পতাকা উড়তে দেখা গেছে। স্থানে স্থানে ভগবান রামের পূজা করতেও দেখা গেছে ভক্তদের। বিকেলে বিভিন্ন রাস্তার মোড় দখল করে বম ফোটাতে মেতে স্থানীয় ভক্তরা। একইভাবে আজ সকাল থেকেই সোসিয়াল মিডিয়ায় আজকের দিনটি কে কালো দিবস আখ্যায়িত করে পোস্ট ডালতে দেখাগেছে অনেক কে।
সকল ছবি, সৌজন্যে গুগল।