আরটিএন, কাটিগড়া , ৫ সেপ্টেম্বরঃ- মাস্ক বিতরণ ও সেনিটাইজ করার নামে বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠছে কাটিগড়ায়। অভিযোগ মতে, জবকার্ড হোল্ডারদের মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ ও প্রত্যেক গাও পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, মন্দির-মসজিদ, হাটবাজার এবং জনবহুল এলাকা নিয়মিত সেনিটাইজ করার জন্য বিভাগীয় তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়। এখাতে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে প্রায় দু লক্ষ টাকা করে প্রত্যেক জিপিতে বরাদ্দ হয়। অভিযোগ মতে, প্রত্যেক জিপিতে প্রায় দুই হাজার মাস্ক বিতরণ করার নির্দেশ থাকলেও বাস্তবে বড়জোর পাঁচশো-র মতো মাস্ক বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন জনবহুল এলাকা ও প্রতিষ্ঠানগুলি নিয়মিত সেনিটাইজ করার নির্দেশ থাকলেও বাস্তবে জিপির মাধ্যমে কোনো সেনিটাইজ করা হয় নি। কাটিগড়া দমকল বাহিনী কর্তৃক কিছু কিছু স্থানে সেনিটাইজেশন করা হয়েছে লকডাউন সময়ে। দমকল বাহিনীর সেনিটাইজ প্রক্রিয়া কে জিপি ভিত্তিক সেনিটাইজেশন প্রক্রিয়া বলে দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নামমাত্র মাক্স যেগুলা বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাও অতি নিম্নমানের।
দু তিনটি জিপি ব্যতিত কাটিগড়া ও কালাইন উন্নয়ন খণ্ডের পঁচিশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছবি প্রায় একই। সংশ্লিষ্ট জিপি সভাপতি ও সচিবরা মিলে এই মোটা অংকের টাকা উদাও করেছেন বলে অভিযোগ সচেতন জিপি নাগরিকদের । তাদের মতে, জিপির জনবহুল এলাকা নিয়মিত সেনিটাইজেশন না করার ফলে অতিমারী করুণা ভাইরাস আজ কমুউনিটি ট্রেন্সমিশন হয়েছে। গ্রাম কাটিগড়ার বিভিন্ন এলাকার করুণায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। নিয়মিত সেনিটাইজেশন করা হলে আজ এই অবস্থা হতো না। সরকার করুণা ভাইরাসের থাবা থেকে আমজনতাকে রক্ষা করতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করছে করুণা খাতে। আর এই সুযোগে একদল স্বার্থান্বেষী লোক উটেপড়ে লেগেছে তাদের উদরপূর্তি করারজন্য৷ কাটিগড়া-কালাইনে মাস্ক বিতরণ ও সেনিটাইজেশনের জন্য বরাদ্দ সমষ্টির পঁচিশ জিপি মিলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই বৃহৎ পরিমাণ টাকা নয়ছয় করে পকেটস্থ করার বিষয়টি তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আমজনগণ। দুর্নীতিগ্রস্থ সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় এনে এই মহামারীর সময় দুর্নীতিতে লিপ্ত হওয়ার কড়া শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your Valuable comment