Friday, 21 August 2020

একনজরে হযরত মাও আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী।

তিনি কে?
তিনি ফেসবুকে নাই। তিনি ইউটিউবেও নাই। তিনি নাই ইন্টারনেটে। তিনি মানুষের জটলায় থাকেন না। তিনি প্রচলিত মাহফিলের পোস্টারে থাকেন না। তিনি সভাপতি হতে চান না। প্রধান অতিথির চেয়ারের প্রতিও তিনি দেখান না আগ্রহ। তিনি কারো বাড়িতে সহসাই যেতে চান না। তিনি কারো কষ্টের কারণ হতে চান না। তিনি অযাচিত কোনো ধনীর করিডোরে রাখেন না কদম।
ছবিঃ- হযরত মাও আহমদ হাসান চৌধুরী শাহান ফুলতলী।    

তিনি যিকরুল্লাহর মজলিসে যান। তিনি এতিমের মাহফিলে যান। তিনি দুঃস্থ মানুষের কাছে বসেন। তিনি রিকশা বিতরণে আছেন। তিনি এতিমের নৌকায় উঠে বসেন। তিনি এতিমদের গোসল করান সস্নেহে। তিনি মেডিকেলে রোগীর খোঁজ রাখেন। তিনি বিধবার ঘর বানান। মসজিদ করে দেন। লঙ্গরখানা করে দেন। তিনি ব্রিজ করে দেন মানুষের পারাপারের জন্য। তিনি চাল, ডাল, কেরোসিন বিতরণ করেন। তিনি বন্যা, খরা, জলোচ্ছাসে ভেসে যাওয়া মানুষের সাথী। তিনি বৃদ্ধ—বৃদ্ধার ঘরের বাতি। তিনি সবহারাদের বন্ধু-স্বজন।
তিনি শিশুদের বড় ভালোবাসেন। তিনি সবার সুখে হাসেন। তিনি উদার মনের মানুষ। তিনি দরসে বুখারীর শায়খ। তিনি দুরুদের মজলিসে বসেন। তিনি ইলমে কিরাতের ইমাম শ্রেণীর খাদেম। তিনি জ্ঞানের উপমা। তিনি প্রজ্ঞার দ্যুতনা। তিনি সব কল্যাণের সাথে চলেন। তিনি এ যুগের আলোর নকীব।
তিনি সাধারণ তবে ব্যতিক্রম। তিনি সবার থেকে আলাদা। তিনি আরাম—আয়েশের প্রতি ঝুঁকেন না। তাঁর কাঠের চেয়ারটির পেছনের হেলান দেওয়ার অংশটি নেই। এটা কত বড় শরাফতী ভাবা যায়?
তিনি কাউকে কাফির কাফির বলেন না। তিনি মুনাফিকদের দলেও চলেন না। তিনি ঘৃণার চাষ করেন না। তিনি জৌলুশ নিয়েও চলেন না। তিনি সাদাসিধে। সবার। সকলের। মানুষের। মানবতার। তিনি গর্বের ধার—ধারেন না। মাওলানা, আল্লামা লিখেন না। তিনি চলমান স্রোতের বিপরীত। যিকির, ফিকির, দুআ, তসবিহ, শোকর, তাকওয়া, তাওয়াক্কুল এসবের নূরে নূরানী। তিনি এ সময়ের, এই উম্মাহর কাঙ্ক্ষিত মানুষ। তিনি নবীজি (সা)—এর প্রকৃত অনুসারী।
তিনি কারো মুরশিদ। কারো কাছে বড় ছাব। কারো পিতা। কারো উস্তাদ। কারো অভিভাবক। কারো শিক্ষক। কারো কাছে নেতা। কারো কাছে দরবেশ। আসলে তিনি সময়ের প্রেক্ষিতে তুলনাহীন। সবচেয়ে ভালো। সবচেয়ে উন্নত। সবচেয়ে বেহতর। মানবিক উপমা। রূহের চিকিৎসক।
তিনি মানুষের মনে। তিনি মাবুদের ধ্যানে। তিনি সৃষ্টির সেবায়। তিনি আল্লাহর রেদ্বায়। তিনি আছেন। তিনি থাকবেন তার মহান মাওলার ইচ্ছায়। তিনি কে? তিনি আমাদের বড় ছাহেব কিবলা, শ্রদ্ধেয় আল্লামা ইমাদ উদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।
আল্লাহ তাঁর ছায়া, তাঁর দুআ আমাদের উপর দীর্ঘায়িত করুন।

No comments:

Post a Comment

Thanks for your Valuable comment