~~~~~~~~~
বর্তমানে ৫২.৫ তোলা রুপার মূল্য ৪২০০০ টাকা।সে হিসাবে যাদের কাছে ৪২০০০ টাকা বা এর চেয়ে বেশি টাকা অথবা সমপরিমাণ অস্থাবর সম্পদ (নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদে) একবছর যাবত ছিল,তাদের উপর ২.৫% হারে যাকাত ফরয। বছরের শুরু ও শেষে নিসাব পূর্ণ থাকলে যাকাত আদায় করতে হবে। মাঝে নিসাব কমে যাওয়া ধর্তব্য নয়।
নামাযের পরেই যাকাতের গুরুত্ব বেশি।আল-কুরআনে "যাকাত" শব্দের উল্লেখ এসেছে ৩২ বার। বার বার নামাযের পরেই যাকাতের উল্লেখ করা হয়েছে। তাই যাকাত প্রদানে টালবাহানা করবেন না। যাকাত প্রদান না করলে হালাল উপার্জনের সম্পদ অপবিত্র থাকে। তাই যাকাত দিন, সম্পদ পবিত্র করুন।
সুরা বাকারায়, হেদায়াতপ্রাপ্ত মুত্তাকিদের পরিচয় দিতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “…আমার দেয়া রিযক হতে যাকাত প্রদান করে”। এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর ভয় অন্তরে লালন করা ও হেদায়াতের পূর্ণতায় পৌঁছুতে যাকাত প্রদানের কোনো বিকল্প নেই। যে ব্যক্তি যাকাত ফরয হওয়ার পরও তা আদায় করে না, তার পক্ষে পূর্ণ হেদায়াত লাভ করা কখনো সম্ভব নয়।
বর্তমান যুগে কিছু মুসলিম আছেন, যারা নামায পড়েন কিন্তু যাকাত দিতে কলিজা কাঁপে; সম্পদ বুঝি এই শেষ হয়ে গেল। অথচ যাকাত দিলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তারা ভাবেন, আতর লাগিয়ে শুক্রবার নামাযে যাচ্ছি; সেজেগুজে ঈদের নামাযে হাজিরা দিচ্ছি; ব্যাস.. মুসলমানের দায়িত্ব তো পালন হলোই; বেহেশত তো পাচ্ছিই; হুর-গেলমান তো থাকবেই; ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু না… যাকাত প্রদান করলে যেমন পাচ্ছেন হেদায়াত ও আল্লাহ তাআলার নৈকট্য, ঠিক তেমনি যাকাত না আদায় করলেও প্রস্তুত থাকছে ভয়ানক শাস্তি।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ – يَوْمَ يُحْمَىٰ عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَىٰ بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ ۖ هَٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنْفُسِكُمْ فَذُوقُوا مَا كُنْتُمْ تَكْنِزُونَ
আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না , তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে। (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার। [৯:৩৪-৩৫]
সুরা হুমাযা পুরোটাই যাকাত প্রদান না করার শাস্তির আলোচনা করছে। দেখুন,
وَيْلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَةٍ – الَّذِي جَمَعَ مَالًا وَعَدَّدَهُ – يَحْسَبُ أَنَّ مَالَهُ أَخْلَدَهُ – كَلَّا ۖ لَيُنْبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ – وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ – نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ – الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ – إِنَّهَا عَلَيْهِمْ مُؤْصَدَةٌ – فِي عَمَدٍ مُمَدَّدَةٍ
প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ,যে অর্থ সঞ্চিত করে ও গণনা করে। সে মনে করে যে,তার অর্থ চিরকাল তার সাথে থাকবে। কখনও না,সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে। আপনি কি জানেন,পিষ্টকারী কি ? এটা আল্লাহর প্রজ্বলিত অগ্নি,যা হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছবে। এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে,লম্বালম্বি খুঁটিতে। [১০৪:১-৯]
No comments:
Post a Comment
Thanks for your Valuable comment